প্রকাশিত: ৩০/০৯/২০১৬ ৭:৪১ এএম

img_20160929_194900সেদিন ছিল ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। রাত তখন প্রায় ৮টা। হঠাৎ দেখি , ইসলামিক স্লোগান নিয়ে একটি মিছিল দীপাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারের সামনের রাস্তা দিয়ে বিহারের দিকেই অাসছে। তখন শুরু করে দিল বিহারের ভেতরে পাথর, ইটপাটকেল ছুড়ে মারতে। সেই মূহুর্তে কান দিয়ে শব্দ শুনা ছাড়া অার কোন পরিস্থিতি ছিল না অামাদের। সময় যতই গড়াচ্ছে পরিস্থিতি ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ পর তারা চলে গেল। এরই মধ্যে পুড়ে যায় পূর্ণিমার অালোয় ঝলসানো ধর্মান্ধ মানুষের বিবেকের দহনে উখিয়ার হাজার বছরের সম্প্রীতি ও পুরাকীর্তি, বৌদ্ধ বিহার সহ শতাধিক বসত বাড়ি বাড়ি। সেই সাথে পুড়ে ছাই হয় উখিয়ার মানুষের হাজার বছরের সম্প্রীতির বন্ধন।

এরই ধারাবাহিকতায় বলার অাছে যে, সংখ্যালঘুরা পরাধীন বাংলাদেশে কোনো না কোনোভাবে তারা টিকে থাকলেও স্বাধীন বাংলায় পারছেন না কেন? এখনও পাকিস্তানি কায়দায় তাদের ঘরবাড়ি পোড়ে কেন? পূজার থালায় রক্তের আলপনা ঝরে, উপাসনালয় পোড়ে, কেন? তাদের ভূমি ও নারী লুটপাট হয়। এরপরও আমরা বিবেকের সঙ্গে আপোস করে বলি: ‘‘আমরা খুব ভালো আছি।’’ এমন কথা বলছি আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার কিংবা কোন বড় সম্মেলনেও।

ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক অনেক মানুষের মতে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আছে বলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, সহিংসতা, লুটপাট ও ভূমিদস্যুতা তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই। তবে এই নিয়ে যুক্তি দাঁড় করিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগারও অবকাশ নেই। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা ন্যায্য অধিকার নিয়ে সবার সঙ্গে মিলেমিশে বাঁচতে চাই। সাম্প্রদায়িক শক্তি কখনও কোনো কালে কোনো জাতি বা রাষ্ট্রের ভালো করেনি। তবে অবনত মস্তকে সকৃতজ্ঞ চিত্তে এও স্বীকার করছি যে, হামলাকারীরা বাদে দেশের সর্বস্তরের মানুষ জাতি, ধর্ম, দলমতনির্বিশেষে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। শোকার্তদের শান্ত্বনা দিয়েছিলেন।

লেখাঃ কনক বড়ুয়া শ্রাবন

পাঠকের মতামত

মাইক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ড. মিজানুর রহমান আজহারী

তাফসির মাহফিলের মাইকগুলো যথাসম্ভব প্যান্ডেলের ভেতরেই রাখুন। আগ্রহী শ্রোতারা সেখানে বসেই তাফসির শুনবেন। শ্রোতাদের সুবিধার্থে ...

ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে ১ ঘণ্টাও লাগবে না :মিজানুর রহমান আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, আমরা মুসলিম, ...

সভাপতি মোঃ হোবাইব -সাধারণ সম্পাদক ফোরকান-সাংগঠনিক কামাল মহেশখালীতে লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ গঠিত

লবণ উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানী নয়, নায্যামূল্যাসহ রপ্তানির লক্ষে গঠিত হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে লবণ চাষি ...